ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার একটি কেন্দীয় মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো মসজিদে বোমাবর্ষণ করেছে, যেটি দেইর এল-বালার আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের কাছে। এ কেন্দ্রীয় মসজিদে বাস্তুচ্যুত লোকেরা আশ্রয় নিয়েছিলেন।
এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৮২৭ জনে। আর আহত হয়েছেন ৯৬ হাজার ৯১০ জন।
এর আগেও বহুবার মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এর মধ্যে গত ২৩ মে উত্তর গাজার ফাতিমা আল-জাহরা মসজিদে হামলা চালায় দেশটি। এতে ১০ শিশুসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হন। সে সময় ইসরাইলি হামলা থেকে বাঁচতে শিশুদের নিয়ে অনেক নারী ওই মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে কয়েক লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি খান ইউনিসে চলে যায়।
১১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো হামলার পর বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া অনেকেই নিখোঁজ হয়েছেন। তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে লেবাননের উত্তরাঞ্চলের বেদ্দাবি শিবির লক্ষ্য করে চালানো ইসরাইলের ড্রোন হামলায় স্ত্রী, দুই মেয়েসহ হামাসের এক সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
অব্যাহত এ হামলার মধ্যেই ইরান, লেবানন ও গাজা লক্ষ্য করে সেনাবাহিনী বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের মিডিয়া।