যুক্তরাষ্ট্র নতুন ও অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ তৈরি করতে যাচ্ছে। গত সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন। এই যুদ্ধজাহাজগুলোর নাম তাঁর নামেই রাখা হবে ট্রাম্প-শ্রেণির যুদ্ধজাহাজ।
শুরুতে দুটি যুদ্ধজাহাজ বানানো হবে, তবে ভবিষ্যতে সংখ্যা বাড়তে পারে। ট্রাম্প বলেন, এগুলো হবে সমুদ্রযুদ্ধে ব্যবহৃত সবচেয়ে শক্তিশালী ও ভয়ংকর জাহাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। এগুলো হবে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ।
ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে নিজের বাসভবনে তিনি এ ঘোষণা দেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নেভির শীর্ষ কর্মকর্তারা।
সাংবাদিকরা জানতে চান, চীনের সঙ্গে অস্ত্র প্রতিযোগিতার জন্যই কি এই পরিকল্পনা। ট্রাম্প সরাসরি চীনের নাম না নিয়ে বলেন, এই জাহাজগুলো শুধু চীন নয়, সব ধরনের হুমকি মোকাবেলার জন্য। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়।
ট্রাম্প জানান, প্রতিটি যুদ্ধজাহাজের ওজন হবে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টন। এতে থাকবে আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র, বড় বন্দুক, লেজার অস্ত্র ও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা এখনো উন্নয়নের পর্যায়ে আছে। এসব জাহাজ পারমাণবিক অস্ত্র বহন ও সমুদ্র থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারবে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব ডেস্ট্রয়ার ও ক্রুজার আছে, নতুন এই যুদ্ধজাহাজগুলো সেগুলোর চেয়ে বড় হবে। তবে আকারে এগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় পুরোনো যুদ্ধজাহাজ আইওয়া-শ্রেণির চেয়ে একটু ছোট হবে।