আমাদের চারপাশে প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটছে প্রতিদিন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ এআই এর কেন্দ্রে রয়েছে। আজকের দিনে এআই শুধু বিজ্ঞান-কল্পকাহিনীর বিষয় নয় বরং এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠেছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে এই টেকনোলজিটা এখনো ফুলি ম্যাচিউর্ড না। এমন কিছু কাজ আছে যা এখনি এআই দিয়ে করাটা শুধু বোকামিই নয়, বরং বিপজ্জনকও হতে পারে।
চলুন জেনে নেই কোন কাজগুলো এআই দিয়ে করবেন না:
শারীরিক অসুস্থতার চিকিৎসা: ডাক্তারের বদলে এআইকে বিশ্বাস করে নিজের চিকিৎসা করা মারাত্মক হতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন: মানসিক সমস্যায় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না নিয়ে এআই এর উপর নির্ভর করা বিপজ্জনক।
জরুরি নিরাপত্তা সিদ্ধান্ত: আগুন লাগলে বা বিপদের মুহূর্তে কী করবেন, তা ওই মুহুর্তে এআইকে জিজ্ঞেস করতে যাবেন না।
আর্থিক বা ট্যাক্সের পরিকল্পনা: ব্যক্তিগত টাকা-পয়সা বা ট্যাক্সের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে এআই এর পরামর্শ নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।
গোপন তথ্য শেয়ার করা: নিজের বা অফিসের কোনো গোপন (Confidential) তথ্য কখনোই এআইকে দেবেন না।
বেআইনি কাজ করা: যেকোনো ধরনের অবৈধ বা বেআইনি কাজের জন্য এআই ব্যবহার করলে আপনি বড় বিপদে পড়বেন।
পরীক্ষায় নকল করা: স্কুল-কলেজের অ্যাসাইনমেন্ট বা পরীক্ষার জন্য সরাসরি নকল করলে আপনি ধরা পড়বেনই। কারণ কোনটা এআই দিয়ে লিখা সেটা মানুষ সহজেই এখন বুঝে।
ব্রেকিং নিউজ যাচাই: ব্রেকিং নিউজ বা সংবেদনশীল তথ্যের সত্যতা যাচাই না করে এআই এর কথা বিশ্বাস করবেন না।
জুয়া খেলা: জুয়া খেলার জন্য এআই এর কাছ থেকে কৌশল বা পরামর্শ নেওয়া বোকামি।
আইনি চুক্তিপত্র তৈরি: উইল বা যেকোনো আইনি চুক্তিপত্র এআই দিয়ে তৈরি করলে তার কোনো আইনি ভিত্তি থাকবে না (এখন পর্যন্ত এর )।
ডিপফেক বানানো: কোনো সেলিব্রিটি বা সাধারণ মানুষের অনুমতি ছাড়া তার ডিপফেক ভিডিও বা ছবি বানানো একটি গুরুতর অপরাধ।
মনে রাখবেন, এআই একটি টুল মাত্র, আপনার বিবেক বা বিশেষজ্ঞের বিকল্প নয় এখনো। তাই নতুন প্রযুক্তিকে বুদ্ধিমত্তার সাথে ব্যবহার করুন।