রমজানে দান-সদকার ফজিলত

পবিত্র রমজান মাস মুসলমানদের জন্য আত্মশুদ্ধি, সংযম ও ইবাদতের মাস। এ মাসে দান-সদকার গুরুত্ব অপরিসীম, যা শুধু ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, সামাজিক ও মানবিক দিক থেকেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

দান-সদকার ফজিলত

ইসলামে দান-সদকার ব্যাপারে অনেক উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, "রমজান মাসে উত্তম আমল হলো দান করা।" (তিরমিজি) 

রমজান মাসে একটি ভালো কাজের প্রতিদান অন্যান্য মাসের তুলনায় বহুগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ কারণে মুসলমানরা এই মাসে দান-সদকায় বিশেষ মনোযোগ দেন।

সামাজিক প্রভাব

রমজানে দান-সদকা সমাজে দারিদ্র্য বিমোচন, অসহায় ও দুস্থ মানুষের সহায়তায় বড় ভূমিকা রাখে। এ সময় অনেক ব্যক্তি ও সংস্থা ইফতার বিতরণ, খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থ প্রদান করে থাকে, যা অসহায়দের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।

আর্থিক ভারসাম্য সৃষ্টি

দান-সদকা কেবল ব্যক্তিগত কল্যাণের জন্য নয়, এটি সমাজে অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করতেও সহায়তা করে। বিত্তশালী ব্যক্তিরা দান করলে সম্পদের সুষম বণ্টন ঘটে, যা অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে।

মানসিক প্রশান্তি ও আধ্যাত্মিক উন্নতি

দান করার ফলে দাতা মানসিক প্রশান্তি অনুভব করেন এবং আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটে। এটি আত্মতৃপ্তি ও পরোপকারের মানসিকতা গড়ে তোলে, যা সমাজকে আরও সুন্দর ও শান্তিময় করে।

রমজান মাসে দান-সদকা শুধু ধর্মীয় দায়িত্ব নয়, এটি মানবিক ও সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম। এই মাসে বেশি বেশি দান করা শুধু দাতার জন্য নয়, বরং সমাজের সকল স্তরের মানুষের জন্য কল্যাণকর। তাই আসুন, এই রমজানে আমরা সবাই নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী দান-সদকা করে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এগিয়ে আসি।


  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আজ থেকে কলেজ ও প্রাথমিকে ঈদের ছুটি শুরু

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম হঠাৎ উত্থান-পতন

শাকিব-নিশো বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন রায়হান রাফী

সীমান্তের শুন্যরেখায় শেষবারের মতো মৃত মায়ের মুখ দেখল বাংলাদেশের দু্ই মেয়ে।

৩০ দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শুরু

মহার্ঘ্য ভাতা নয়, বিশেষ প্রণোদনাই পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগ জমা দিলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, নিহত তিন

বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থ উপদেষ্টা

সিকৃবির ৬ হলের নাম পরিবর্তন

১০

টুং টাং শব্দে মুখরিত কামারপট্টি

১১

প্রকৃতির খুব কাছে থাকতে চাই : বুবলী

১২