১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া নাজির উদ্দিন জেহাদের ৩৫তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে জোহাদ স্মৃতি পরিষদ, উল্লাপাড়ার আয়োজনে এক শোক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ, ছাত্র-জনতা ও গণতন্ত্রপন্থী নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
শোক র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য সচিব সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান জ্যোতি।
তিনি বলেন, শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের এক অবিস্মরণীয় নাম। ১৯৯০ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে সংগঠিত গণআন্দোলনের অগ্রভাগে থেকে তিনি পুলিশের গুলিতে শহীদ হন।
তিনি আরো বলেন, “স্বৈরশাসক এরশাদ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। আর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েই শহীদ নজির উদ্দিন জেহাদ নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর রক্তের স্রোতেই ঘটেছিল গণঅভ্যুত্থান, পতন ঘটেছিল স্বৈরশাসকের।”
শোক র্যালির শুরুতে শহীদ জেহাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানটি শেষ হয় গণতন্ত্র রক্ষার প্রত্যয়ে নতুন শপথ নিয়ে।