দিল্লিতে অবস্থান করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোবাইল ফোন ব্যবহার বা বিবৃতি দেওয়া ভালোভাবে দেখছে না অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তৌফিক হাসান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভারতে থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার বা বিবৃতি দিচ্ছেন, তা ভালো ভাবে দেখছে না ঢাকা। এটি দিল্লিকে বারবার জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত দিল্লি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।’
তৌফিক হাসান বলেন, ‘শেখ হাসিনা ভারতীয় গণমাধ্যমে যেভাবে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন তা পছন্দ করছে না অন্তর্বর্তী সরকার। ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে শেখ হাসিনা যেন ভারতে বসে বক্তৃতা-বিবৃতি দিতে না পারে। ভারতীয় রাষ্ট্রদূত জানিয়েছিলেন, বিষয়টি তারা দেখবেন।’
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের কতজন ভারতে অবস্থান করছেন সে সংখ্যা এখনও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানে না বলেও জানান তিনি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র গণ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তিনি বর্তমানে দিল্লিতে অবস্থান করছেন। সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনার নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক হত্যা মামলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও তাঁর বিরুদ্ধে অনেকগুলো হত্যা ও গুমের অভিযোগ এসেছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল।
দেশ ছাড়ার পর শেখ হাসিনা এখনও কোনো দেশি বা বিদেশি গণমাধ্যমের সামনে আসেননি। তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে তার নামে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। অন্যদিকে, দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে তাঁর কথিত কথোপকথনের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হওয়ার ঘটনাও হয়েছে। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতক গণহত্যার আসামিদের ফেরাতে শিগগিরই ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি হবে।
এরই মধ্যে রেড নোটিশ জারির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলামকে এ চিঠি পাঠিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।