নিয়মিত নামাজে শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা

ছবি সংগৃহিত।

নামাজ প্রত্যেক মুমিনের জন্য ফরজ ইবাদত। এটি প্রত্যেক মুসলমানেরই পড়তে হয়। ঈমানের পরেই আল্লাহ নামাজের কথা বলেছেন। আল্লাহর সাথে বান্দার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হল নামাজ।

কর্মক্ষম উজ্জীবিত মানসিকতা লাভে নামাজ আল্লাহর এক মহা নেয়ামত। বান্দার জন্য অন্যতম রহমতও বটে। তাইতো আল্লাহ তাআলা মানুষকে সার্বিকভাবে উজ্জীবিত করতে নামাজের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। আর নামাজ না পড়লে শাস্তির বিধানও রেখেছেন।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে বান্দা আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয় হয়ে উঠে। কুরআনে বলা আছে, যারা আল্লাহ্র কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে, এবং আমি যা দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসা আশা কর, যাতে কখনও লোকসান হবে না — সূরা ফাতির, আয়াতঃ ২৯।

নামাজ মুসলিমদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত কারণ কুরআনে নামাজের কথা ৮২ বার বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কর্ম থেকে বিরত রাখে। ‘ (সুরা—২৯ আনকাবুত, আয়াত: ৪৫)

মুমিন ব্যক্তি রোজ পাঁচওয়াক্ত নামাজ আদায় করে — ফজর, যোহর, আছর, মাগরিব এশা।

 এছাড়া নামাজ আদায়ের মাধ্যমে অনেক শারীরিক উপকার পাওয়া যায়। তাহলে চলুন কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কেগুলো জানি: 

অজু: নামাজের জন্য মানুষকে প্রতিদিন পাঁচ বার অজু করতে হয়। আর এতে মানুষের ত্বক পরিষ্কার থাকে। অজুর সময় মানুষের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার হয়। এতে জীবাণু থেকে ত্বক সুরক্ষা থাকে। এছাড়া চেহারার লাবণ্যতাও বাড়ে ও মুখের বলিরেখা কমে যায়। 

নামাজে দাঁড়ানো: মানুষ যখন নামাজে দাঁড়ায়, তখন চোখ সিজদার স্থানে স্থির থাকে। ফলে মানুষের একাগ্রতা ও মনোযোগ বাড়ে।

রুকু: নামাজি ব্যক্তি যখন রুকু করেন আবার রুকু থেকে ওঠে সোজা হয়ে দাঁড়ান তখন মানুষের কোমর ও হাঁটুর ভারসাম্য রক্ষা হয়। রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে কোমর ও হাঁটু ব্যথা কমে।

সেজদা: নামাজে যখন সেজদা করা হয় তখন নামাজি ব্যক্তির মস্তিস্কে দ্রুত রক্ত প্রবাহিত হয়। ফলে তার স্মৃতি শক্তি বহুগুণে বাড়ে। আবার সেজদা থেকে ওঠে যখন দুই সেজদার মাঝখানে বসে এতে তার পায়ের উরু ও হাঁট সংকোচন এবং প্রসরণ ঘটে। এতে করে মানুষের হাঁটু ও কোমরের ব্যথা উপশম হয়।

মানসিকতার পরিবর্তন: নামাজের মাধ্যমে মানুষের মন ও মানসিকতায় অসাধারণ পরিবর্তন আসে। গোনাহ, ভয়, নীচুতা, হতাশা, অস্থিরতা, পেরেশানি ইত্যাদি দূরভীত হয়। ফলে বিশুদ্ধ মন নিয়ে সব কাজে সম্পৃক্ত হওয়া যায়।

পরিচ্ছন্ন রাখে: নামাজের জন্য মানুষকে প্রতিদিন পাঁচবার অজু করতে হয়। আর এতে মানুষের ত্বক পরিষ্কার থাকে। ওজুর সময় মানুষের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার হয় য দ্বারা বিভিন্ন প্রকার জীবানু হতে মানুষ সুরক্ষিত থাকি।

চেহারার লাবন্যতা বৃদ্ধি: নামাজের জন্য মানুষ যতবার অজু করে, ততবারই মানুষের মুখমণ্ডল ম্যাসেস হয়ে থাকে। যাতে মুখমণ্ডলে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। ফলে মানুষের চেহারার লাবন্যতা বৃদ্ধি পায়, মুখের বলিরেখা ও মুখের দাগ কমে যায়।

স্বাস্থ্য উপকারিতা: নামাজ মানুষের দেহের কাঠামোগত ভারসাম্যতা বজায় রাখে। ফলে স্থুলতা কমে। নামাজে নড়া-চড়া করায় অঙ্গগুলো স্থানভেদে সংবর্ধিত, সংকুচিত হয়ে বিশেষ কাজ করে থাকে। অঙ্গ ও জোড়াগুলোর বর্ধন ও উন্নতি এবং শক্তি বাড়ায়।  

নামাজ মানুষের মানসিক, স্নায়ুবিক, মনস্তাত্ত্বিক, অস্থিরতা, হতাশা-দুশ্চিন্তা, হার্ট অ্যাটাক, হাড়ের জোড়ার ব্যাথা, ইউরিক এসিড থেকে সৃষ্ট রোগ, পাকস্থলীর আলসার, প্যারালাইসিস, ডায়াবেটিস মেলিটাস,  চোখ এবং গলা ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

হার্টের রোগীদের প্রতিদিন বাধ্যতামূলকভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা উচিত,নামাজ মানুষকে সব সময় সতেজ রাখে, অলসতা এবং অবসাদগ্রস্ততাকে শরীরে বাড়তে দেয় না।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক উপকারিতা লাভের তাওফিক দান করুন।  আমিন।

 

 


  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আজ থেকে কলেজ ও প্রাথমিকে ঈদের ছুটি শুরু

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম হঠাৎ উত্থান-পতন

শাকিব-নিশো বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন রায়হান রাফী

সীমান্তের শুন্যরেখায় শেষবারের মতো মৃত মায়ের মুখ দেখল বাংলাদেশের দু্ই মেয়ে।

৩০ দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শুরু

মহার্ঘ্য ভাতা নয়, বিশেষ প্রণোদনাই পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগ জমা দিলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, নিহত তিন

বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থ উপদেষ্টা

সিকৃবির ৬ হলের নাম পরিবর্তন

১০

টুং টাং শব্দে মুখরিত কামারপট্টি

১১

প্রকৃতির খুব কাছে থাকতে চাই : বুবলী

১২