রাঙামাটির রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে বারি লাউ-৪ নতুন জাতের গবেষণায় সফলতা মিলেছে। কাপ্তাইয়ের রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সূত্র থেকে জানা যায়, এ জাতের লাউয়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাপ সহনশীল এবং সারা বছর চাষ করা যায়। বাংলাদেশের সব এলাকার পাশাপাশি পাহাড়ে এ জাতটি চাষ করার বেশ উপযোগী।
গ্রীষ্মকালে চাষের জন্য ফাগুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চারা রোপণের ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে এর ফল সংগ্রহ করা যায়। প্রতি হেক্টরে ফলন হয় ৮০ থেকে ৮৫ টন। জাতটি তাপ সহিষ্ণু হওয়ায় সারা বছর জুড়ে চাষ করে কৃষকরা লাভবান হতে পারে।
এদিকে স্থানীয় কৃষকরা মনে করছেন, এই নতুন জাতের লাউ চাষ করতে পারলে তারা বেশ লাভবান হতে পারবেন। রাইখালী ইউনিয়ন কৃষক পাইদো অং মারমা বলেন, গত অক্টোবর মাসে আমি এই গবেষণা কেন্দ্র হতে বারি লাউ- ৪ এর বীজ ও সার নিয়েছি। তারা আমাকে বিনামূল্যে এগুলো
দেন। এক বিঘা জমিতে আমি চাষ করি। বর্তমানে চারাগুলো অনেক বড় হয়েছে। আশা করি ভালো ফলন হবে।
কাপ্তাইয়ের রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ এ জাতের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাপ সহনশীল এবং সারা বছর চাষ করা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে চাষের জন্য উপযোগী একটি জাত। গাঢ় সবুজ রঙের ফলের গায়ে সাদাটে দাগ থাকে।
তিনি আরও জানান, গাছ প্রতি ১০-১২টি ফল পাওয়া যায় এবং ফলের গড় ওজন ২ দশমিক ৫ কেজি। ফল লম্বায় ৪২-৪৫ সেন্টি মিটার এবং ব্যাস ১২-১৩ সেন্টিমিটার। জীবনকাল ১৩০ হতে ১৫০ দিন। হেক্টর প্রতি ফলন হয় ৮০ হতে ৮৫ টন।
বাংলাদেশের সব এলাকায় এ জাতটি চাষ করা যায়। গ্রীষ্মকালে চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষিতে অনন্য ভূমিকা রেখে আসছেন। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই গবেষণা কেন্দ্রে ইতিমধ্যে ২১টি সবজি এবং ফলের জাত উদ্ভাবন করেছে।