জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চলতি মাসের মধ্যেই আরও এক লাখ প্রতিষ্ঠানকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) নিবন্ধনের আওতায় আনতে চায়।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ভ্যাট দিবস উপলক্ষে রাজস্ব ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান জানান, রাজস্ব আদায়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ভ্যাট প্রদানকারী ব্যবসায়ীদের সংখ্যা কম থাকা।
তিনি বলেন, এই বছরের ভ্যাট দিবসের মূল প্রতিপাদ্য এবং ফোকাসটা আমরা দিয়েছি ভ্যাট রেজিস্ট্রেশনের উপর। এই মাসে আমরা যে ভ্যাট সপ্তাহ পালন করব এবং ডিসেম্বরের পুরো মাসব্যাপী ড্রাইভ চলবে এবং আমরা চেষ্টা করব নতুন করে ১ লাখ রেজিস্ট্রেশন করতে। এটা আমাদের টার্গেট। বাট এটাকে আরও অনেক দূর নিয়ে যেতে হবে।
জরিপ অনুযায়ী কত সংখ্যক প্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাটের আওতার বাইরে— এমন প্রশ্নে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এই মুহূর্তে আমার কাছে ডাটা নেই। সুতরাং সেভাবে বলতে পারব না। বাট সংখ্যা ব্যাপক। আনরেজিস্টার্ড ভ্যাট পেয়ারের সংখ্যা বা বিজনেস পেয়ারের সংখ্যা ‘ইনরমাস’। এখানে প্রচুর কাজ করার সুযোগ আছে।
আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ লাখ প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধনের আওতায় আনার আশা প্রকাশ করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য অনলাইনে সহজ ‘ওয়ান-ক্লিক’ ভ্যাট রিটার্ন ব্যবস্থাও চালুর পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
তার মতে, ভ্যাট নিবন্ধন বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি এবং নিবন্ধন ব্যবস্থা সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারলে সামগ্রিকভাবে ভ্যাট শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।
প্রতি বছরের মতো চলতি বছরও এনবিআর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ভ্যাট সপ্তাহ উদযাপন করবে। ভ্যাট নিবন্ধনকে গুরুত্ব দিয়ে এ বছরের ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব। এছাড়াও বুধবার থেকে মাসজুড়েই দেশব্যাপী নিবন্ধন প্রচারণা চালাবে এনবিআর।