হাওর বেষ্টিত বোরো প্রধান এ জেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ১২০ হেক্টর জমি। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এ বছর সরিষা চাষ করা হয়েছে ৪ হাজার ১৪৮ হেক্টর জমিতে। যার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিকটন সরিষা।
কৃষকরা অধিক ফলনের সঙ্গে লাভবান হতে সরিষার খেতে সময় দিয়ে যাচ্ছেন। কৃষি বিভাগ বলছে, এবার ফুল ভালো ধরায় সরিষার বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে। কৃষকরা বলছেন, দিগন্তজোড়া মাঠে মাঠে সরিষা ফুলের সমারোহ দেখা যাচ্ছে।
কৃষকরা ছুটছেন লাভজনক তেল জাতীয় ফসল সরিষা চাষের দিকে। কম খরচ, কম পরিশ্রম আর অল্প সময়ে সরিষা চাষ করা যায় বলে এটি অত্যন্ত লাভজনক একটি ফসল। পতিত বিঘা জমি থেকে চলতি মৌসুমে গড় ৪ থেকে ৫ মণহারে সরিষার ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও সরিষা চাষ করলে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়। যার কারণে প্রতি বছরই সরিষার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মোকছেদপুর গ্রামের এক চাষী জানান, এ বছর তারা ৬ কেদার জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। কৃষি অফিসের সহায়তায় ৭ জনের গ্রুপ করে আরো ৬ কেদার জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। তিনি জানান, প্রতি কেদার জমিতে অন্তত ৫ মণ করে সরিষা ফলবে।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে যেসব উপজেলায় সরিষা আবাদ করে থাকেন কৃষকরা। উপজেলাগুলো হচ্ছে ধর্মপাশা, তাহিরপুর, ছাতক, সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, জগন্নাথপুর, দিরাই, জামালগঞ্জ, শাল্লা ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায়।