উল্লাপাড়ার সেই বিতর্কিত মাদ্রাসা সুপারসহ ৪ জন বরখাস্ত

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বিনায়েকপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুস সামাদসহ ৪ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সহকারী শিক্ষক মোমেনা খাতুনকে অবৈধভাবে দেওয়া বরখাস্তের আদেশ আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

সোমবার সন্ধ্যায় এই মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত  সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বরখাস্ত হওয়া অপর শিক্ষক-কর্মচারী হলেন, মাদ্রাসা সুপারের স্বজন হিসাবে পরিচিত এই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ সালাম, মোঃ শিহাব ও নৈশপ্রহরী আক্তার হোসেন। সভায় উল্লিখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনিত দুর্নীতি অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আতাউর রহমানকে আহ্বায়ক  ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বিশ্বাস  সদস্য সচিব রাখা হয়েছে। আগামী ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে এই কমিটিকে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বিশ্বাস জানান, বিনায়েকপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ আমাদের হাতে এসেছে। তিনি তার কার্যকলাপের মাধ্যমে বিতর্কিত হয়েছেন। কিছুদিন পুর্বে মোমেনা খাতুন নামে এক শিক্ষিকা তার বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ দেন। ঘুষের অভিযোগের দেয়ার পর থেকে সুপার ওই শিক্ষিকাকে নানান ভাবে নির্যাতন শুরু করে। পাশাপাশি মাদ্রাসার অপর শিক্ষকরাও সুপার ও তার স্বজন শিক্ষক কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনেন। প্রাথমিকভাবে ইউএনও’র নির্দেশনায় মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর থেকে তদন্ত করে শিক্ষক-কর্মচারীদের আনীত অভিযোগের সত্যতা মেলে। এদিকে ইউএনও’র কাছে অভিযোগ করার পর দিনই কথিত সুপার আব্দুস সামাদ নিয়ম বহির্ভূতভাবে সহকারী শিক্ষক মোমেনা খাতুনকে বরখাস্ত করেন।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মাদ্রাসার সুপার আব্দুস সামাদ গত ২০ নভেম্বর তার কক্ষের চলমান বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংরক্ষণ করা আলমারিতে তালা দিয়ে কাউকে কিছু না বলে মাদ্রাসা থেকে চলে যান। এতে চলমান বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানার পর ২৪ নভেম্বর উল্লাপাড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার রিমা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ওই মাদ্রাসায় পাঠান। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলমারির তালা ভেঙ্গে প্রশ্নপত্র বের করে পুনরায় পরীক্ষা শুরু করান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত জানান, প্রাথমিকভাবে সুপার আব্দুস সামাদ ও তার কর্মকান্ডে জড়িত উল্লিখিত শিক্ষক কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে পূর্বে বরখাস্ত করা শিক্ষক মোমেনা খাতুনের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।  সেই সাথে ওই প্রতিষ্ঠানের সকল দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কড়াইল বস্তিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পানি সংকট

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বললেন সেনাপ্রধান

গণভোটের ব্যালট পেপার কোন রঙের হবে, জানালেন ইসি সচিব

উল্লাপাড়ার সেই বিতর্কিত মাদ্রাসা সুপারসহ ৪ জন বরখাস্ত

কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৬ ইউনিট

ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ৬৩৩, একজনের মৃত্যু

কড়াইল বস্তিতে আগুন

সিরাজগঞ্জে শীতকালীন সবজিতে বাজার ভরপুর : দামে কমতি নেই

ইতিহাসের সবচেয়ে স্বচ্ছ হবে আগামী নির্বাচন: ইসি সানাউল্লাহ

অনলাইনে রিচার্জ করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড

১০

২৯ নভেম্বর পরীক্ষামূলক ভোটিং করবে ইসি

১১

যমুনা অভিমুখে ৪৭ তম বিসিএস পরীক্ষার্থীরা, আটকে দিলো পুলিশ

১২