সিরিজে ফিরতে বাংলাদেশের দরকার ছিল ১৯১ রান। তবে রশিদের ঘূর্ণিজাদুতে মাত্র ১০৯ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ৮১ রানের জয়ের এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল আফগানরা।
ম্যাচের পর মুশতাক বলছেন, রশিদ খানের নামটাই বড় করে দেখছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা, ‘আমার পর্যবেক্ষণ হলো, তারা রশিদের বিরুদ্ধে খেলে, রশিদের বলের বিরুদ্ধে না।’
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে গত রাতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৯১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২২.২ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৯ রান ছিল বাংলাদেশের স্কোর। হাতে যখন ৫ উইকেট আর শেষ ১৬৬ বলে ৯২ রান দরকার, তখন ম্যাচের পাল্লা তো মিরাজের দলের দিকেই ভারী। উইকেট যতই কঠিন হোক, যত উইকেটই পড়ুক, ওভারপ্রতি ৩.৩৩ রানরেটে বাকি পথ পাড়ি দেওয়া তো অসম্ভব নয়। কিন্তু সে সময়ই নামে ভয়াবহ ধস। ১০ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রানে শেষ মিরাজের দল। ৮১ রানে জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই আফগানিস্তান সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে।
প্রথম দুই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ২০ উইকেটের মধ্যে ৮ উইকেটই তুলে নিয়েছেন রশিদ খান। যার মধ্যে গতকাল দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ৮.৩ ওভার বোলিং করে খরচ করেন ১৭ রান। দিয়েছেন দুই ওভার মেডেন। খেলোয়াড়ি জীবনে লেগস্পিনার হওয়ায় আরেক লেগস্পিনার রশিদ খানের বোলিংয়ের ধরন ভালোই বুঝতে পারেন মুশতাক।
রশিদকে নিয়ে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ বলেন, ‘আমি যেটা পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারলাম, রশিদের বিরুদ্ধে খেলে তারা (বাংলাদেশি ব্যাটাররা)। রশিদের বলের বিরুদ্ধে নয়। বল খুব বেশি ঘুরায় না সে (রশিদ)। অভিজ্ঞ ও উইকেট টেকিং বোলার রশিদ। তার বিপক্ষে খেলা তাই চ্যালেঞ্জিং।’
আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ খোয়ানোর পর মিরাজ ব্যাটিং ধসকেই দায়ী করেছেন। এখন তারা নামবে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মিরাজ বলেন, ‘আমরা খুবই হতাশ। তবে একটা ম্যাচ এখনো বাকি। তারপর আরও এক সিরিজ আছে আমাদের। কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে, সেই ব্যাপারে ভাবতে হবে।’
আবুধাবিতে পরশু সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। এই সিরিজের পর বাংলাদেশ ঘরের মাঠে আতিথেয়তা দেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ১৮, ২১ ও ২৩ অক্টোবর মিরপুরে হবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের তিন ওয়ানডে। ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বরে এখন বাংলাদেশ। ৯৪, ৮৮ ও ৮০ পয়েন্ট নিয়ে সাত, আট ও নয় নম্বরে অবস্থান করছে আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ।