২০২৩ সালের মে মাসে সামরিক বাহিনীর অবকাঠামোতে হামলার মামলায় জামিন পেয়েছেন কারারুদ্ধ পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) এসব মামলায় তাকে জামিন দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করেন। লাহোর হাইকোর্ট জামিন না দেয়ার পর হাইকোর্টের দারস্থ হন ইমরান। এরপর সুপ্রিম কোর্ট থেকে আজ এ সিদ্ধান্ত এলো।
সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দিয়েছেন, যদি অন্য আর কোনো মামলা বা আটকাদেশ না থাকে তাহলে তাকে যেন কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু যেহেতু ইমরান দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত তাই এখনই তিনি বাইরে বের হতে পারবেন না।
২০২২ সালে অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ৭২ বছর বয়সী ইমরান খান। এরপর ক্ষমতায় বসেন শেহবাজ শরিফ। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করে শেহবাজ সরকার। ইমরান খান ছাড়াও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) অনেক নেতাকে এমন মামলায় জর্জরিত করা হয়েছে।
তবে পিটিআই মিডিয়াকে পাঠানো এক বার্তায় বলেছে, “এখন ইমরান খানকে জেল থেকে বের করে আনার জন্য আরও একটি মামলায় (আল-কাদির মামলা) জামিন প্রয়োজন।”
২০২৩ সালের মে মাসে ইমরান খানকে স্বল্পসময়ের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল। তখন ক্ষোভে ফুঁসে উঠেন তার সমর্থকরা। সেনাবাহিনী এ গ্রেফতারের সঙ্গে জড়িত এমন অভিযোগ তুলে তারা রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাবাহিনীর সদরদপ্তর ছাড়াও আরও কিছু অবকাঠামোতে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালান।