ভারতের রাজধানী দিল্লির লালকেল্লার কাছে সোমবার সন্ধ্যায় হওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণে নয়জন নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণে ব্যবহৃত সাদা রঙের হুন্ডাই আই২০ গাড়িটি ঘটনার আগে প্রায় ১২ দিন ধরে রাখা ছিল হারিয়ানার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে।
তদন্তকারী সংস্থার তথ্যে জানা গেছে, সন্দেহভাজন অভিযুক্ত ডা. উমর নবি ১০ নভেম্বর সকালে ওই গাড়িটি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিল্লির পথে রওনা দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে, দিল্লির পুরনো এলাকার লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ধীরগতিতে চলতে থাকা গাড়িটিতে হঠাৎ শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে।
মুহূর্তের মধ্যে আগুনে পুড়ে যায় গাড়িটি। আশপাশের যানবাহন ও পথচারীরাও আহত হন।
ডা. উমর নবি ২৯ অক্টোবর ফরিদাবাদের সোনু নামের এক গাড়ি বিক্রেতার কাছ থেকে গাড়িটি কেনেন। একই দিন তিনি গাড়িটির দূষণ নিয়ন্ত্রণ (পিইউসি) সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য বাইরে যান।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ‘রয়্যাল কার জোন’ নামের অফিসের পাশের পিইউসি বুথে গাড়িটি দাঁড়িয়ে আছে।
পরে তিনি গাড়িটি নিয়ে আল-ফালাহ মেডিক্যাল কলেজে যান এবং সেখানে সহকর্মী ডা. মুজাম্মিল শাকিলের সুইফট ডিজায়ারের পাশে পার্ক করেন। তদন্তে জানা গেছে, এই শাকিলই সোমবার সকালে ‘বিস্ফোরক জব্দের’ ঘটনায় গ্রেপ্তার হন। তার গাড়ি নিবন্ধিত ছিল আরেক চিকিৎসক ডা. শাহিন সাঈদের নামে, যার গাড়ি থেকে পুলিশ একাধিক রাইফেল ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে।
২৯ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ওই গাড়িটি কলেজ প্রাঙ্গণেই পার্ক করা ছিল বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। ১০ নভেম্বর সকালে সহযোদ্ধা ডা. মুজাম্মিল শাকিল ও ডা. আদিল আহমদ রাদার গ্রেপ্তারের খবরে নবি আতঙ্কিত হয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
এরপর গাড়িটিকে কনট প্লেস ও মায়ূর বিহার এলাকায় দেখা যায়। বিকেল ৩টা ১৯ মিনিটে চাঁদনি চক এলাকার সুনেহরি মসজিদের পার্কিংয়ে গাড়িটি প্রবেশ করে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ডা. নবি নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন এবং তিনি কোনো সময় গাড়ি থেকে নামেননি।
সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত গাড়িটি সেখানেই ছিল—এর পরেই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।