কক্সবাজারের রামুতে অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় প্রথমে ঘটনাস্থলে চারজন নিহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব গোমাতলী এলাকার নাজির হোসেনের স্ত্রী মরিয়ম আক্তার (৪৫) ও তার এক শিশু কন্যা এবং অটোরিকশাচালক হাবিব উল্লাহ। তবে নিহত অপর এক নারীর নাম ও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে তিনি নিহত অপর যাত্রীদের স্বজন।
রশিদনগর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মাসুম বলেন, দুপুরে কক্সবাজার আইনিক রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন ধলিরছড়া রেল ক্রসিং এলাকায় পৌঁছে। এসময় ভারুয়াখালীমুখি একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশা রেল ক্রসিং অতিক্রম করছিল। এতে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশাটি প্রায় এক কিলোমিটার দূরের এলাকা পর্যন্ত নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে চালক ও শিশুসহ ৪ জন নিহত হয়েছে। পরে আরো একজন নিহত হয়েছে। ঘটনার পরপরই ঘাতক ট্রেনটি পালিয়ে যায়।
এদিকে, দুপুরে ঘটনার পরপরই চট্টগ্রাম দিক থেকে আসা কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি বিক্ষুদ্ধ জনতা ঘটনাস্থলে আটকে রেখেছে।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈয়বুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার কবলে পড়া অটোরিকশাটি কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী থেকে রামু যাচ্ছিল। ট্রেনের অবস্থান না বুঝে এটি রেলক্রসিংয়ে উঠে যায়। ফলে ঢাকামুখী ট্রেনের সামনে পড়ে যায়। এসময় ট্রেনটির ইঞ্জিনের সঙ্গে আটকে যায় অটোরিকশা। কিছুদূর এটিকে ঠেলে নিয়ে যায় ট্রেন। দুর্ঘটনায় অটোরিকশায় থাকা সবাই নিহত হয়েছেন।