তিস্তা ব্যারেজ কমান্ড এলাকায় চলতি বোরো মৌসুমে ক্যানেলগুলোতে সেচের পানি দেওয়া শুরু হয়েছে। ফলে কমান্ড এলাকায় কৃষকরা বোরো চাষে মাঠে নেমে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার থেকে মাঠে নেমেছেন তিস্তার সুবিধাভোগী চাষীরা। তারা বলছেন, যদি পানি সঠিকভাবে পাওয়া যায় তাহলে লাখো কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে।
তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি স্লুইস গেইট বন্ধ রেখে সেচ ক্যানেলে নদীর পানি প্রবেশ করানো হচ্ছে। পানির প্রবাহ স্বাভাবিক থাকলে এবার ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে।
রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া, তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ পর্যন্ত সেচ ক্যানেলে পানি সরবরাহ শুরু করা হয়। তিস্তা সেচ কমান্ড এলাকার সেচ খালে পানি পেয়ে কৃষকরা বোরো চারা রোপণে নেমে মাঠে নেমে পড়ছে।
রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া, তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ পর্যন্ত সেচ ক্যানেলে পানি সরবরাহ শুরু করা হয়। তিস্তা সেচ কমান্ড এলাকার সেচ খালে পানি পেয়ে কৃষকরা বোরো চারা রোপণে নেমে মাঠে নেমে পড়ছে।
গংগাচড়ার চাষী সুজন বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে জমিতে পানি পেয়েছি, এবার ৪ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করছি, যদি পানি সঠিকমত পাই তাহলে ভালো ফলন হবে।
তিস্তা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত অন্যতম একটি অভিন্ন নদী। শুষ্ক মৌসুমে পানি ভাগাভাগি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এই তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের ইস্যুটি একটি অমীমাংসিত সমস্যা। দুই দেশের সম্পর্কের আলোচনায় তিস্তা একটি বড় ইস্যু।
বাপাউবোর উত্তরাঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বাসসকে জানান, এ প্রকল্পটি বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ সক্ষমতার আংশিক ব্যবহার করে রংপুরের ৪টি উপজেলায় সেচ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। নতুন উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে এর সক্ষমতা বহুলাংশে বাড়বে।
তিনি জানান, ২০২৭ সালের জানুয়ারি থেকে ১ লাখ ৪ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় আসবে।