গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা শুরু হওয়া দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতায় নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। বেসামরিক মানুষ নিহতের ঘটনায় কঠোর নিন্দা জানিয়ে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো বর্বরতা আন্তর্জাতিক আইনের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন, যার মধ্যে অনেকগুলো যুদ্ধাপরাধের সমান।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, গাজায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে না দেওয়া, বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস এবং বারবার সাধারণ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় অভূতপূর্ব হত্যা, মৃত্যু, আহত, মানুষকে অনাহারে রাখা ও রোগ ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নিহত মানুষের প্রায় ৪৪ শতাংশ শিশু এবং ২৬ শতাংশ নারী। শিশুদের বেশির ভাগেরই বয়স পাঁচ থেকে নয় বছরের মধ্যে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার–বিষয়ক কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ব্যাপকভাবে ইসরায়েলের হামলা চালানো এত বেশিসংখ্যক প্রাণহানি হওয়ার পেছনে একটি বড় কারণ।
মানবাধিকার কমিশন বলেছে, গাজা যুদ্ধের প্রথম ছয় মাসে ৩৪ হাজার ৫০০ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে ৮ হাজার ১১৯ জনের মৃত্যুর তথ্য যাচাই করতে পেরেছে তারা। এই ৮ হাজার ১১৯ জনের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৩ হাজার ৫০৮ জনের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ৬৮৪ জন।