বাংলাদেশ ঘুরে ইন্দনেশিয়া হয়ে নেপাল সব খানেই ত্রান কর্তা যেনো জেন-জি। তীব্র জনরোষের পর অবশেষে পদত্যাগ করলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। কিছুক্ষণ আগে তিনি টেলিভিশনে দেয়া বিবৃতিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এ খবরে আনন্দে ভাসছে নেপাল।
পদত্যাগ করার পর ওলি’র ভবিষ্যত কি হবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে মিডিয়ায় একটি কথা ভেসে বেড়াচ্ছে। তাহলো তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন। আশ্রয় নিতে পারেন অন্য কোনো দেশে। যদি তা-ই হয়, তাহলে তিনি বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার মতো পরিণতি ভোগ করতে পারেন। পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে ওলি বলেছেন, তিনি সাংবিধানিক সমাধানের পথ তৈরি করে দেয়ার জন্য পদত্যাগ করছেন।
এর আগে বিক্ষুব্ধ জনতা প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন ধরিয়ে দেয় বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপির বাসভবনে।
২০২৪ সালের জুলাই থেকে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন অলি। নেপালি কংগ্রেসের সমর্থনে তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন। তবে রক্তক্ষয়ী দমন-পীড়নের দায় তার প্রশাসনের ওপর চাপতে শুরু করলে ক্রমেই তার বিরুদ্ধে জনরোষ বাড়তে থাকে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোও নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহারের জন্য অলির সরকারকে দায়ী করে।
অলি এর আগে ২০১৫–১৬, ২০১৮–২১, স্বল্প সময়ের জন্য ২০২১ সালে এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দৃঢ় মনোভাব ও জাতীয়তাবাদী নীতির জন্য পরিচিত এই নেতা ক্ষমতায় আসেন স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি নিয়ে।
তবে তার রাজনৈতিক জীবন শেষ হলো অস্থিরতা, জনঅসন্তোষ ও কর্তৃত্ববাদিতার অভিযোগের মধ্য দিয়ে।