রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদলত। বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এর আগে,পুলিশ হেফাজত থেকে শমী কায়সারকে আদালতে আনা হয়। এরপর সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উত্তরা পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মহিববুল্লাহ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ। শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে শমী কায়সার আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশীও ছিলেন।
বুধবার আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অভিনেত্রী শমী কায়সার অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষর্থীদের গরম পানি নিক্ষেপের কথা যে গ্রুপে (আলো আসবেই) বলা হয়েছিলো,সেই গ্রুপে আমি ছিলাম না। আন্দোলনে যে ধ্বংসযোগ্য চলছিলো সেসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছি শুধু,কাউকে অভিযোগ করে বক্তব্য দেয়নি আমি’।
‘সে সময় হাসিনা সরকারকে কোনো ধরনের সহায়তা করিনি। যখন ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিলো আমি তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বারবার সেটা চালুর কথা বলেছি।’
মামলার সূত্রে জানা গেছে,বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীসহ অন্যরা কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন। উত্তরা পূর্ব থানার চার নম্বর সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। ইসতিয়াকের পেটে গুলি লাগে। তিনি এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেন। পরে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় শমী কায়সার ২৪ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।