পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সচিবালয়ে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক (সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক) নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সচিবালয়ে প্রবেশের সময় প্লাস্টিকজাত কোনো সামগ্রী বহনে থাকবে কড়াকড়ি, বিকল্প হিসেবে দেওয়া হবে কাগজ বা কাপড়ের ব্যাগ। আগামীকাল রোববার (৫ অক্টোবর) থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সচিবালয়ের সব প্রবেশপথে চেকিং করা হবে। ভেতরে পলিথিন বা একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পাওয়া গেলে তার ব্যবহার রোধ করা হবে। যাদের কাছে নিষিদ্ধ ব্যাগ পাওয়া যাবে, তাদের কাগজের ব্যাগ দেয়া হবে। প্রবেশপথসহ সচিবালয়ের বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতার জন্য বোর্ড বসানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণে মনিটরিং টিম কাজ করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সম্প্রতি মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ সব মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে। সচিবালয়ে এসইউপি ব্যবহার বন্ধ করে পুনঃব্যবহারযোগ্য সামগ্রী নিশ্চিত করতে হবে। সভা-সেমিনারে বোতল, কাপ, প্লেট ও চামচের মতো একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক আর ব্যবহার করা যাবে না। তার পরিবর্তে পাটজাত, কাপড়ের বা পুনঃব্যবহারযোগ্য ব্যাগ ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সরকারি ক্রয়েও প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্য অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এসইউপি ব্যবহার বন্ধে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সভা-সেমিনারে কাগজ বা পরিবেশবান্ধব খাবারের প্যাকেট দেয়া হবে। সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে ব্যবহারের জন্য বিকল্প সামগ্রী সরবরাহ করা হবে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে একজন ফোকাল পারসন নিয়োগ ও মনিটরিং কমিটি গঠন করারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আগামী ৫ অক্টোবর ২০২৫ থেকে সচিবালয়কে এসইউপি মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।