পাকিস্তানে ভূমিধসে ২৫ জনের মৃত্যু, আটকা পড়েছেন ৩ শতাধিক পর্যটক

ছবি সংগৃহীত।

ভারী বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে পাকিস্তানের গিলগিট-বালতিস্তান (জিবি), আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর (এজেকে) এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার বাজৌর জেলায় অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আটকা পড়েছেন তিন শতাধিক পর্যটক। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। 

জিবি সরকারের মুখপাত্র ফায়জুল্লাহ ফারাক জানান, ঘিজারের খালথি উপত্যকায় এক নারীসহ তিনজন মারা গেছেন, যেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে অর্ধ ডজনেরও বেশি বাড়ি। তিনজন এখনো নিখোঁজ এবং উদ্ধারকারী দলগুলো অনুসন্ধান চালাচ্ছে। ডায়ামের বনার এলাকায় ভাই ও বোন প্রবল স্রোতের তোড়ে ভেসে গেছে, আর বাবুসর সড়কে ভূমিধসে এক শিশু আহত হয়েছে। খবর জিও নিউজের। 

ভারী বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের ঝুঁকির কারণে ১৫ ও ১৬ আগস্ট এজেকের সব সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এজেকের তথ্যমন্ত্রী মাজহার সাঈদ নীলম ভ্যালির পর্যটনকেন্দ্র রাত্তি গালি থেকে এক ভিডিও বার্তায় জানান, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে সড়কের অংশ ভেসে যাওয়ার পর সেখানে ৭০০–এরও বেশি পর্যটক, যার মধ্যে ৩০০–এর বেশি নারী ও শিশু রয়েছে, আটকা পড়েছেন।

ঘিজারের ইয়াসিন থোই এলাকায় আকস্মিক বন্যায় ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়, পানির ট্যাংক ও কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিধসে বালতিস্তান ও সাদপাড়া সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ডায়ামের থোর ও আস্তোর উপত্যকাতেও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। কোহিস্তানে বন্যায় করাকোরাম মহাসড়কের একটি সেতু ধ্বংস হয়ে জিবি ও দেশের বাকি অংশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

জিবি সরকার বিভিন্ন এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করে জিবি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও রেসকিউ ১১২২–কে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চলছে। ফারাক বলেন,‘এটি গিলগিট-বালতিস্তানের জন্য কঠিন সময়। সরকার সব ধরনের সম্পদ কাজে লাগাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায়।’

এদিকে, মুজাফফরাবাদের নাসিরাবাদ তেহসিলে একই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে (ক্লাউডবার্স্ট)। টানা বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় এজেকের বিভিন্ন এলাকার নদীগুলো উপচে পড়েছে।

বাগ জেলায় প্রবল বর্ষণে নদীর পানি উপচে পড়ে, সামাহনির ভিম্বার নালায় পর্যটকবাহী একটি গাড়ি ভেসে যায়। তবে গাড়িতে থাকা সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ঝেলাম ভ্যালি, সামাহনি, হাত্তিয়ান বালা ও নীলম ভ্যালিতে পানির প্রবাহ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে।

এজেকে প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ার উল হক জরুরি বৈঠকে রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে (এসডিএমএ) নির্দেশ দেন, নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য আর্থিক সহায়তা এবং গৃহহীনদের জন্য আবাসনের নির্দেশ দেন। পানি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে জরুরি চেকপোস্ট স্থাপনেরও নির্দেশ দেন তিনি।


  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জন্মদিনে খালেদা জিয়াকে প্রধান উপদেষ্টার ফুলেল শুভেচ্ছা

এশিয়ার চ্যাম্পিয়নস লিগে বাংলাদেশের ৫ নারী ফুটবলার খেলবেন

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ. লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে কঠোর অবস্থানে পুলিশ

এক মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের ৬ হক

পাকিস্তানে ভূমিধসে ২৫ জনের মৃত্যু, আটকা পড়েছেন ৩ শতাধিক পর্যটক

রাজশাহীতে একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

নির্বাচন বৈধ না হলে তা আয়োজনের কোনো অর্থ নেই: ড. ইউনূস

আজকের মুদ্রার বিনিময় হার

আগামী সপ্তাহে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা: ইসি সচিব

ভারতকে রুখতে রকেট ফোর্স গঠন করল পাকিস্তান

১০

১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মসূচি ঘোষণা

১১

গ্লোবাল প্লাস্টিক চুক্তির খসড়া প্রত্যাখ্যান করল বাংলাদেশ

১২