গাজার সরকারি গণমাধ্যম অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৯ হাজার শিশুসহ মোট ৬২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে গাজার সরকারি গণমাধ্যম অফিসের দেওয়া তথ্যে।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর কার্যালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এ হামলায় ১ হাজার ১৪৩ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল সরকার। হামলার জবাবে ওই দিনই গাজা উপত্যকায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
আজ দুই বছর ধরে এখন পর্যন্ত একটানা হামলা চালিয়েই যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাদ যায়নি গাজার বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আশ্রয় শিবির, ত্রাণকেন্দ্র, এমনকি উপাসনালয়ও।
এরই মধ্যে গত ২ মার্চ গাজায় নতুন করে অবরোধ শুরু করেছে ইসরায়েল।
উল্লেখ্য, টানা ১১ সপ্তাহ অবরোধের পর মে মাসের শেষের দিক থেকে গাজাতে খুবই স্বল্প পরিসরে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এতে করে তীব্র খাদ্যসংকটে ভুগছেন গাজাবাসী।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তাকারী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানায়, গাজায় শিশুদের জন্য আর কোনো স্থানই নিরাপদ নয়। ইসরায়েলের অবরোধে খাদ্য ও ওষুধের সংকট তীব্র হওয়ায় ক্ষুধা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন লাখো বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি। কিন্তু ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে এসব আশ্রয়কেন্দ্রও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে।
ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, জাতিসংঘের পতাকার নিচে আশ্রয় নিলেও সেগুলো হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে।
ইউনিসেফের তথ্য উদ্ধৃত করে এই সংস্থাটি জানায়, গত ৫ মাসে ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে হামলা শুরুর পর থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৫৪০ জনেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছে।