আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই নির্বাচনে তিনি সশরীরে জনগণের পাশে থাকবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তারেক রহমান নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশার কোনো সুযোগ নেই। নির্ধারিত সময়েই দেশে নির্বাচন হবে এবং সেই গণতান্ত্রিক যাত্রায় তিনিও জনগণের সঙ্গেই থাকবেন। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন শুধু অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য নয়। এই নির্বাচনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব সুসংহত করার প্রশ্ন।’
দেশের স্বার্থবিরোধী একটি চক্র নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো থেমে নেই। সাম্প্রতিক সময়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলা সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
তিনি বলেন, ‘হাদির ঘাতকেরা তাদের আড়ালেই লুকিয়ে আছে, যারা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আগামী নির্বাচনকে ব্যর্থ করতে চায়। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে অপব্যাখ্যা করতে ষড়যন্ত্রকারীদের রং এবং রূপ পরিবর্তন হলেও তাদের চরিত্র একই রয়ে গেছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, অতীতে একটি চক্র নিজেদের স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছিল। সেই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পরাজিত আরেকটি চক্র এখন নতুন করে ইতিহাস তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
রাষ্ট্রযন্ত্রের ক্ষমতার উৎস নিয়ে তিনি বলেন, ‘কখনোই জনগণকে ক্ষমতাহীন করে রাষ্ট্রযন্ত্র ক্ষমতাশালী হতে পারে না। জনগণের ক্ষমতায়নই রাষ্ট্রের প্রকৃত শক্তি।’
তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাহস যুগিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘ভয় দেখিয়ে আপনাদের পিছিয়ে দিতে চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। বিজয়ের মিছিল নিয়ে সামনে এগিয়ে গেলে ষড়যন্ত্রকারীরা পিছু হটতে বাধ্য হবে।’
বিজয় দিবসের এই আলোচনা সভায় বিএনপির শীর্ষ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান।