কাজের পাশাপাশি দেশের সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে বরাবরই সরব থাকতে দেখা যায় আজমেরী হক বাঁধনকে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে এবার নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
পোস্টে বাঁধন লেখেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে দেশ শোক, অবিচার ও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে গেছে। এমন বাস্তবতায় তারেক রহমান ও তার পরিবারের প্রত্যাবর্তন তার মনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।’ পাশাপাশি তারেক রহমানের রাজনৈতিক আচরণ ও ব্যক্তিগত ব্যবহারের প্রশংসাও করেন অভিনেত্রী।
বাঁধনের ভাষ্য অনুযায়ী, তারেক রহমানের কথাবার্তায় অন্তর্ভুক্তিমূলক মনোভাব, স্ত্রী ও কন্যার প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং আনুষ্ঠানিক আসনে না বসে সাধারণ প্লাস্টিকের চেয়ারে বসার বিষয়টি তাকে বিশেষভাবে নাড়া দিয়েছে।
এমনকি পরিবারের পোষা প্রাণীর প্রতিও যে স্নেহ প্রদর্শন করা হয়েছে, সেটিকে তিনি সহমর্মিতা ও নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে দেখেছেন।
ফেসবুক পোস্টে বাঁধন আরো লেখেন, রাজনীতিতে ছোট আচরণ অনেক সময় বড় বার্তা দেয়।’ তার মতে, ‘দেশ এমন নেতৃত্বের যোগ্য—যারা শাসন নয়, সেবার মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়াবে।

রাজনৈতিক বক্তব্যের পাশাপাশি নিজের ক্যারিয়ার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন অভিনেত্রী। তিনি জানান, ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার পর তাঁর অভিনয়জীবনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে।
বর্তমানে তাঁর অভিনীত একটি চলচ্চিত্র রটারডাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছে এবং আরেকটি সিনেমা বড় আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
তবে এই সাফল্যের পথচলায় শিল্পীসমাজের একাংশের আচরণে হতাশার কথাও জানান বাঁধন। নাম উল্লেখ না করে তিনি লেখেন, ‘কিছু শিল্পী উন্নতির পরিবর্তে ঈর্ষা, চরিত্রহনন ও অবমাননার পথ বেছে নিচ্ছেন, যা দেশের সৃজনশীল পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’
পোস্টের শেষাংশে অভিনেত্রী আশা প্রকাশ করেন, এই নেতিবাচক সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে সবাই যেন আরো সুস্থ, ইতিবাচক ও সহযোগিতামূলক পথে এগিয়ে যান।