গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) তিনি ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছেন অবিলম্বে গাজায় বোমা হামলা বন্ধ করতে। কারণ, হামাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার কিছু শর্ত মেনে নিয়ে জিম্মিদের মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে।
হামাস শুক্রবার ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রতি আনুষ্ঠানিক সাড়া জানায়। এর আগে ট্রাম্প তাদেরকে রোববার পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন প্রস্তাব গ্রহণের জন্য। তিনি বলেছেন, হামাস এখন ‘দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য প্রস্তুত’ এবং যুদ্ধ থামাতে এবার ইসরায়েলকে উদ্যোগ নিতে হবে।
ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে লিখেছেন, ‘ইসরায়েলকে এখনই গাজায় বোমা হামলা বন্ধ করতে হবে, যাতে জিম্মিদের দ্রুত ও নিরাপদে ফিরিয়ে আনা যায়। এটা শুধু গাজা নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপার।’
তবে ট্রাম্পের বার্তার পরও গাজার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক ও যুদ্ধবিমান তীব্র বোমা বর্ষণ চালিয়েছে। গাজা সিটি ও খান ইউনুসে একাধিক জায়গায় হামলা হলেও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েল এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে হামাসের সাড়ার বিষয়ে মন্তব্য করেনি। তবে বিরোধীদলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে আলোচনায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। জিম্মি পরিবারের পক্ষ থেকেও অবিলম্বে আলোচনার দাবী তোলা হয়েছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, হামাসের প্রতিশ্রুতিকে এখনই বাস্তবে রূপ দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েলের অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজায় ৬৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এই অভিযানে গণহত্যার অভিযোগ তুলেছে।
হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে নিরস্ত্রীকরণ বা ধাপে ধাপে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের মতো জটিল বিষয়ে এখনও সমঝোতা হয়নি। সংগঠনটি বলেছে, গাজার প্রশাসন একটি স্বতন্ত্র ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাট সরকারের হাতে হস্তান্তরে তারা প্রস্তুত।