আওয়ামী লীগকে ক্যান্সেল (বাতিল) করতে হলে জনগণের ভোটের মাধ্যমে করতে হবে, অন্য ভাবে নয় এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, আপনি যদি আওয়ামী লীগকে ক্যান্সেল করে দিতে চান অন্য কোনোভাবে, এগুলো টিকে থাকে না। ফ্যাসিস্টকে ক্যান্সেল করবেন ভোটের মাধ্যমে চরমভাবে পরাজিত করে। অন্য ভাবে ক্যান্সেল করলে কোনো সুফল বয়ে আনে না।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভয়েস অব ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ভোটার রাইটস এর আয়োজনে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপির জন্য সংস্কার নতুন কিছু নয়। খালেদা জিয়া ২০১৬ সালে ভিশন ২০৩০ সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল। তারেক রহমানও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব দলের মতামতের ভিত্তিতে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন। শুধু সবাইকে নিয়ে নয়, বাস্তবায়নের জন্য ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে থাকা সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটা জাতীয় সরকার গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে। জনগণের আস্থা নিয়ে সংস্কার করতে হবে। সেটা একমাত্র সম্ভব নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে। অনির্বাচিত কোনো সরকার তাদের নিজস্ব চিন্তা ভাবনা ও দর্শনে সেভাবে সংস্কার করা সুযোগ নেই। যেসমস্ত সংস্কারে ঐক্যমত্য আছে সেগুলো বাস্তবায়নের আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
১৬ বছরে জ্বলে-পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে বিএনপি এমন মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়ন করাতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ১৬ বছরে জ্বলে-পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে বিএনপি। ত্যাগ-জুলুমের মধ্যে দিয়ে বিএনপি নতুন বিএনপিতে পরিণত হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা ত্যাগ করতে শিখেছে, রক্ত দিতে শিখেছে ও জীবন দিতে শিখেছে। আমরা গণতন্ত্রের লড়াই, মানবাধিকার লড়াই ও ভোটারধিকার ফিরিয়ে পাওয়ার লড়াই থেমে থাকবো না।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা ব্যর্থ হতে দেব না। আমরা সর্মর্থন দিয়ে যাচ্ছি এবং যাব। সবাই মিলে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছি। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র পক্ষের কাজ করতে হবে। হাসিনা পালনোর পর দেশের মানুষের মনোজগতে পরিবর্তন হয়েছে। যে দল ও ব্যক্তি এটা বুঝতে পারবে না, তাদের রাজনীতি বেশিদূর এগোতে পারবে না।
ভয়েস ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ভোটার রাইটসের আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক সহকারী অধ্যাপক ড. এম মুজিবুর রহমান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমতুল্লাহ প্রমুখ।