বাংলাদেশে উন্নয়ন বাজেটের ৪০ শতাংশ অর্থ তছরুপ হয়েছে : ড. দেবপ্রিয়

বাংলাদেশে উন্নয়ন বাজেটের ৪০ শতাংশ অর্থ তছরুপ হয়েছে, দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা না গেলে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কার্যক্রম করা যাবে না। পরবর্তী জাতীয় বাজেট আসার আগে দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারে বর্তমান সরকার কি কি উদ্যোগ নেবে সেগুলোকে স্পষ্ট করতে হবে। আরও দায়বদ্ধতা আনতে হবে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এ সরকার পাঁচ বছর দায়িত্বে থাকবে না। তবে অন্তত আগামী দুই বছরের কর্মপরিকল্পনা সামনে থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে চামচা পুঁজিবাদ থেকে চোরতন্ত্রে পরিণত হয়েছিলো পুরো কাঠামো। আর এর উৎস ২০১৮ সালের নির্বাচন। পরবর্তী সময়ে যে ভোট হয়েছে, সেখানে স্বচ্ছতার জায়গা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারকে আগামী ২ বছরের কর্ম পরিকল্পনা তৈরির পরামর্শ দেন তিনি।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরতে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ড. দেবপ্রিয় এ কথা বলেন।

বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী সরকারের আমলে দেশের ১০ শতাংশ মানুষ ৮৫ শতাংশ সম্পদ ভোগ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ সময়ে উন্নয়ন বাজেটের নামে ৪০ শতাংশ টাকা তছরুপ ( দুর্নীতি) করা হয়েছে।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটেও জাতিসংঘ মনে করছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে যাবার জন্য যথেষ্ট। উন্নয়নশীল দেশ হবার পথে কোনো বাধা নেই।

তিনি বলেন, পরবর্তী জাতীয় বাজেট আসার আগে দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারে বর্তমান সরকার কি কি উদ্যোগ নেবে সেগুলো স্পষ্ট করতে হবে। আরও দায়বদ্ধতা আনতে হবে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এই সরকার পাঁচ বছর দায়িত্বে থাকবে না। তবে অন্তত আগামী দুই বছরের কর্মপরিকল্পনা সামনে থাকতে হবে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ৩০ অধ্যায়ের ৪০০ পৃষ্ঠার দীর্ঘ শ্বেতপত্রে উঠে এসেছে কীভাবে ক্রোনি পুঁজিবাদ অলিগার্কদের জন্ম দিয়েছে, কীভাবে তারা নীতি প্রণয়নকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। দেশের ৮৫ শতাংশ সম্পদ ১০ শতাংশ মানুষ ভোগ করছেন বলেও জানান দেবপ্রিয়।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য ড. আবু ইউসুফ বলেন, রাজস্ব বোর্ড যে পরিমাণ টিন সার্টিফিকেট থাকার দাবি করে, সেই পরিমাণ রাজস্ব আহরণ হয় না। এমনকি কেউ মারা গেলে সেই সার্টিফিকেট বা নম্বর কি হবে, সেটির কোন কার্যকর প্রক্রিয়া নেই। রাজস্ব বোর্ড সেটা কমিটিকে দিতে পারেনি। কিভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা খাতকে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে তার কোনো সঠিক কাঠামো নেই।

কমিটির আরেক সদস্য ড. তাসনীম সিদ্দিকী বলেন, অভিবাসনের জন্য মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে। অভিবাসনের মাধ্যমেও অর্থপাচার হয়েছে বলে জানান তিনি। ড. সেলিম রায়হান বলেন, যেসব খাতে সংস্কার দরকার সেখানে শক্তিশালী উদ্যোগ নিতে হবে। ড. ইমরান মতিন বলেন, ১০ শতাংশ মানুষের কাছে ৮৫ ভাগ সম্পদ। টোকা দিলে যে দারিদ্র বিমোচন শেষ হয়ে যাবে, সেটিকে কার্যকর উদ্যোগ বলে না। কমিটির সদস্য ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে যেসব টাকা লোপাট করা হয়েছে পরবর্তী প্রজন্মের ঘাড়ে সেই বোঝা থেকে গেলো।

ড. জাহিদ হোসেন বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে হবে। জবাবদিহিমূলক প্রশাসন নিশ্চিত করতে হবে।

তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, সরকারি তথ্য-উপাত্তে বড় ধরনের গলদ আছে।


  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার কর্মসূচি করবেন না- মির্জা আব্বাস

রাত ১১টা পর্যন্ত হাতিরঝিলে যান চলাচল বন্ধ

কঠিন লড়াই আসছে, প্রস্তুতি নিচ্ছে এনসিপি: নাহিদ ইসলাম

সময় যতই লাগুক অভ্যুত্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে- আসিফ মাহমুদ

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ: আরও একজনের মৃত্যু

সুদানের উত্তর করদোফান রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে হামলা চালিয়ে অন্তত ৩০০ জনকে হত্যা

দ্রুজ-বেদুইন সংঘর্ষে জড়ালো সিরিয়ার সেনা, আক্রমণ চালাচ্ছে ইসরাইল

গোপালগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ

ঢাকায় মহাসমাবেশ সফল করতে উল্লাপাড়ায় জামায়াতের স্বাগত মিছিল

১০

গোপালগঞ্জ পরিস্থিতি নিয়ে সেনাবাহিনীর বক্তব্য

১১

চুয়াডাঙ্গায় জামায়াতের সাংবাদিক সম্মেলন

১২