বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে আর্থিক খাতে চলা অরাজকতায় ডুবতে বসেছে কয়েকটি ব্যাংক এবং তাদের গ্রাহকরা। এ থেকে ব্যাংক গুলোকে টেনে তুলতে হাত প্রসারিত করে রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোকে দেওয়া হয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ওপরে।
মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেছেন ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।
হুসনে আরা শিখার দাবি, অর্থ সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনটি টাস্কফোর্স ব্যাংক খাতে সংস্কার, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে।
তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক স্বপ্রণোদিত হয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানে রিসিভার নিয়োগ করবে না। সব ব্যাংকই সময় অনুসারে গুরুত্ব সহকারে সংস্কার করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকগুলোকে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ধার দিতে সবল ১০ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ব্যাংকগুলো হলো: রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালি ব্যাংক, বেসরকারি খাতের ব্র্যাক, ইস্টার্ন, সিটি, শাহজালাল ইসলামি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, পুবালি, ঢাকা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়া।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে দেয়া ঋণের টাকা ফেরত চাইলে সবল ব্যাংকগুলোকে ৩ দিনের মধ্যেই তা ফেরত দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ঋণের সুদহার নির্ধারণ হবে চলতি রেটে।