কয়েকদিন আগেই হয়ে গেল আইপিএলের মেগা নিলাম। নানা হিসাব-নিকাশের পর ক্রিকেটারদের দলে ভিড়িয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। যদিও নিলামের আগেই কয়েকজন করে ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছিল দলগুলো। এর মধ্যে পাঁচটি দল অন্য খেলোয়াড়দের ধরে রাখলেও ছেড়ে দেয় অধিনায়কদের। এই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো হলো- রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, পাঞ্জাব কিংস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, দিল্লি ক্যাপিটালস ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। তার মানে এই পাঁচ দল পাচ্ছে নতুন অধিনায়ক। কারা সেই দায়িত্বে আসতে যাচ্ছেন তার একটি সম্ভাব্য তালিকা দিয়েছে আনন্দবাজার।
রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু
বিরাট কোহলির পর বেঙ্গালুরুর দায়িত্বে ছিলেন ফাফ ডু প্লেসিস। তবে এবার তাকে দলে টানেনি বেঙ্গালুরু। দিল্লিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। এবার কোহলি ছাড়া অধিনায়ক হওয়ার মতো তেমন কেউ নেই। ক্রুনাল পান্ডিয়া ও ভুবনেশ্বর কুমার থাকলেও তাদের অধিনায়ক হওয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই। সেক্ষেত্রে কোহলিই ফিরতে পারেন পুরোনো দায়িত্বে।
পাঞ্জাব কিংস
এবারের আইপিএলে সবচেয়ে বেশি বদল এনেছে পাঞ্জাব। মাত্র দুইজন ক্রিকেটারকে রিটেইন করেছে তারা। যদিও তারা কেউই পরিচিত মুখ বা অধিনায়ক হওয়ার মতো না। গতবার শিখর ধাওয়ান ছিলেন এই দলের দায়িত্বে। কয়েক ম্যাচ পর চোট পেয়ে তিনি ছিটকে গেলে নেতৃত্ব দেন স্যাম কারেন। এবার তারা কেউই নেই। এবার রেকর্ড ২৬ কোটি ৭৫ লক্ষ রুপিতে শ্রেয়াস আইয়ারকে দলে ভিড়িয়েছে পাঞ্জাব। তাই গতবার কলকাতা নাইট রাইডার্সকে চ্যাম্পিয়ন বানানো শ্রেয়াসেই যে পাঞ্জাব আস্থা রাখবে সেটি একপ্রকার নিশ্চিত।
কলকাতা নাইট রাইডার্স
শ্রেয়াসকে ছেড়ে দেওয়ায় ফাঁকা হয়েছে কলকাতার অধিনায়কত্বের পদ। দলে বাকি যারা আছে তাদের মধ্যে কারোই আইপিএলে পূর্ণকালীন অধিনায়কত্বের ভূমিকা নেই। তবে শুরু থেকেই কলকাতায় খেলে আসা ভেঙ্কটেশ আইয়ারের সহ-অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা আছে। অন্যদিকে, বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ও জাতীয় দলে অধিনায়কত্বের ভূমিকা আছে কলকাতার সুনীল নারাইন, কুইন্টন ডি কক, আজিঙ্কা রাহানে ও রোভম্যান পাওয়েলদের। তবে সবাইকে ছাপিয়ে ২৩ কোটি ৭৫ লক্ষ রুপি দামের ভেঙ্কটেশকেই অধিনায়ক করে চমকে দিতে পারে কলকাতা।
দিল্লি ক্যাপিটালস
গতবার দিল্লির নেতৃত্বে ছিলেন রিশাভ পান্ত। এবার তাদের টেক্কা দিয়ে পান্তকে রেকর্ড দামে কিনে নিয়েছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। উল্টো দিকে গতবার লক্ষ্ণৌকে নেতৃত্ব দেওয়া লোকেশ রাহুলকে ১৪ কোটি রুপিতে দলে ভিড়িয়েছে দিল্লি। তাই এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যে রাহুল অধিনায়কত্ব করবেন সেটিও একপ্রকার নিশ্চিত। এই দলে ডু প্লেসিসও আছেন। তবে রাহুল তার চেয়ে এগিয়ে থাকছেন নিশ্চিতভাবেই।
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস
দিল্লি ও লক্ষ্ণৌয়ের ব্যাপারটা সাধারণভাবে দেখলেই বোঝা যায়, তাদের অধিনায়কত্বে কেবল অদল-বদল ঘটেছে। পান্তকে লক্ষ্ণৌতে নিয়ে আসার অন্যতম বড় কারণও অধিনায়কত্ব। পান্ত না থাকলে অবশ্য নিকোলাস পুরানকে এই দায়িত্ব দিতে পারত লক্ষ্ণৌ।
বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর অধিনায়কত্ব মোটামুটি রিটেইন করার মাধ্যমেই নিশ্চিত হওয়া গেছে। মহেন্দ্র সিং ধোনি নেতৃত্ব ছাড়ার পর গত মৌসুমেই দায়িত্ব নিয়েছেন রুতুরাজ গাইকোয়াড়। এবারও থাকছেন তিনিই। গতবার রোহিত শর্মাকে সরিয়ে হার্দিক পান্ডিয়াকে অধিনায়ক করে বড় চমক দিয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। গতবার মুখ থুবড়ে পড়লেও এবারও হার্দিককেই অধিনায়ক রাখবে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
গত কয়েক মৌসুম ধরেই রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। এবারও তার অধীনেই খেলবে ধারাবাহিকভাবে ভালো করে আসা রাজস্থান। হার্দিক পান্ডিয়া গুজরাট ছেড়ে মুম্বাইয়ে চলে আসার পর অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন শুভমান গিল। এই দলটি এবার জস বাটলারকেও কিনেছে। তবে অধিনায়কত্ব থাকার জোর সম্ভাবনা গিলের হাতেই। অন্যদিকে, এইডেন মার্করামকে সরিয়ে গতবারই প্যাট কামিন্সের হাতে অধিনায়কত্ব দিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তার নেতৃত্বেই ফাইনালে খেলেছে দলটি। এবারও তার ওপর নিশ্চিতভাবেই আস্থা রাখবে দলটি।