মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ৭ মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য জুলাই ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আল-আমিনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। শহীদ আল-আমিন ছিলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশার সহকারী।
দীর্ঘ ৫ বছর তিশার সাথে কাজ করেছেন তিনি। সেসময় ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন। কবর থেকে তার লাশ তোলার বিষয়টিও নজর এড়ায়নি তিশার। লাশ তোলার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে তিনি বলেন, কবর থেকে মরদেহ ওঠানোর মতো নির্মম বিষয়টি মোটেও সমর্থন করছি না। কে বা কারা লাশ ওঠানোর পেছনে জড়িত, চিন্তা করে হতবাক আমি। আল- আমিন শুধুমাত্র সহকারী নয়, সে আমার ভাই।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার উত্তরায় গুলিতে নিহত হন আল আমিন। পরে তাকে উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করে। পরবর্তী সময় ময়নাতদন্ত ছাড়াই ২০ জুলাই শ্রীনগর উপজেলার কাশেমনগর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
ঘটনার চার মাস পর ডিসেম্বরে নিহত ব্যক্তির বড় ভাই বাদল খলিফা বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন। এরপর আল আমিনের বাবা আইয়ুব খলিফার সম্মতিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ।