সমৃদ্ধ ও স্থিতিশীল অর্থনীতি গড়তে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান ড. ইউনূসের

ছবি : সংগৃহীত।

সমৃদ্ধ ও স্থিতিশীলতার অর্থনীতি গড়তে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে আরও কার্যকর অর্থায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেন, চলুন আমরা এমন একটি মর্যাদা, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার অর্থনীতি গড়ে তুলি, যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্থিতিশীল বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রথম দ্বিবার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে অর্থায়নের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে পাঁচটি অগ্রাধিকার তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এগুলো কার্যকর করলে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য, বৈষম্য ও আর্থিক অস্থিরতার সমস্যা সমাধান সম্ভব হবে। আমাদের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর শোনার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। দারিদ্র্য একজনের স্বপ্নের পথে বাধা হতে পারে না বলে আমরা বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়া আমার জন্য গর্বের বিষয়। এখানে সম্ভাবনা ও দায়িত্ব একসাথে রয়েছে। আমাদের চতুর্থ আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সম্মেলনে নেয়া অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য বছরে চার ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ ঘাটতি পূরণ করা চ্যালেঞ্জিং হলেও অপরিহার্য।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও সম্পদের ন্যায্য প্রবেশাধিকার হলো ন্যায়বিচারের মূল। একজন নারী যখন ব্যবসা শুরু করে, যুবসমাজ যখন সৌর শক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি পায়, বস্তিবাসী শিশু যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায় এবং পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা পায়- তখন পরিবর্তন বাস্তব ও টেকসই হয়।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্থায়নকে শক্তিশালী করতে তিনি তিনি পাঁচটি অগ্রাধিকারের কথা তুলে ধরেন। এগুলো হলো

১. ন্যায্যভাবে দেশীয় সম্পদ উত্তোলন- আন্তর্জাতিক সহায়তার সমর্থন থাকা প্রয়োজন। কর ব্যবস্থা প্রগতিশীল, স্বচ্ছ ও বহুজাতিক করপোরেশনগুলোর ন্যায্য অংশ নিশ্চিত করতে হবে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক কর সহযোগিতা কাঠামোর আলোচনায় এই বৈষম্য দূর করতে হবে।

২. নবীন অর্থায়ন ও সামাজিক ব্যবসা যৌক্তিক অর্থায়ন এবং এমন উদ্যোগ যারা লাভ পুনরায় সমস্যার সমাধানে বিনিয়োগ করে, চাকরি, অন্তর্ভুক্তি ও মর্যাদা নিশ্চিত করে।

৩. বিশ্ব আর্থিক কাঠামো ও ঋণ শাসন সংস্কার- উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আরও শক্তিশালী কণ্ঠস্বর নিশ্চিত করতে হবে। ঋণকে কঠোরতা নয়, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের হাতিয়ারে রূপান্তর করতে হবে।

৪. স্বচ্ছতা, অবৈধ অর্থায়ন প্রতিরোধ ও নাগরিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা- জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, জানতে হবে কীভাবে সম্পদ ব্যবহার হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

৫. সবচেয়ে দুর্বলদের জন্য বিনিয়োগের ত্বরান্বিতকরণ- স্থিতিশীল বাসস্থান, জলবায়ু-বান্ধব কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান নিশ্চিত করতে হবে।


  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে সাড়ে ৩ হাজার নিবন্ধন

তিন দিনের সফরে শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

সশস্ত্র বাহিনী জাতির আস্থার প্রতীক: তারেক রহমান

এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন রিকশাচালক সুজন

১৯ দিনে প্রবাসী আয় ২৪ হাজার কোটি টাকা

ফের মা হচ্ছেন সোনম, অভিনেত্রীর স্বামী বললেন ‘ঝামেলা’

ডেঙ্গুতে এক দিনে ৪ জনের মৃত্যু

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন: আসিফ নজরুল

সিরাজগঞ্জে ‘যমুনা’ নামে উপজেলা চায় চরঅঞ্চলের ৬ ইউনিয়নবাসী

ওসি প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় প্রকাশ

১০

রাবি শিক্ষার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদে দুই ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ

১১

অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ সমর্থন করে না বাংলাদেশ: উপদেষ্টা ড. খলিলুর

১২