বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৮০ কোটিরও বেশি জিমেইল ব্যবহারকারীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা আপডেট চালু করেছে গুগল। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে অনেক ব্যবহারকারী তাদের অ্যাকাউন্টে প্রবেশ হারাতে পারেন, এমনকি স্থায়ীভাবে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গুগল জানিয়েছে, প্রতিদিন কোটি কোটি মেইল বিশ্লেষণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-মেইল চিহ্নিত করতে তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করলেও সাইবার অপরাধীদের প্রতারণার পদ্ধতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। তাই নিরাপত্তা আরও জোরদার করার লক্ষ্যে নতুন এই নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে।
যেসব পদক্ষেপ নিতে হবে করতে হবে ব্যবহারকারীদের:
১. টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করতে হবে
এখন শুধু ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড যথেষ্ট নয়। ব্যবহারকারীদের অবশ্যই টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করতে হবে, যার দ্বিতীয় ধাপে ফোনে আসা নোটিফিকেশন, অথেনটিকেটর অ্যাপ বা ফিজিক্যাল সিকিউরিটি কী ব্যবহার করতে হবে।
চালু করতে ভিজিট করুন: myaccount.google.com/security
২. নিরাপদ লগইন পদ্ধতি ব্যবহার করুন
পুরোনো ধরনের অ্যাপ বা মেইল ক্লায়েন্ট (যেমন পুরোনো আউটলুক বা অ্যাপল মেইল) যারা আধুনিক লগইন পদ্ধতি সমর্থন করে না, সেগুলোর ব্যবহার বন্ধ করে আধুনিক OAuth 2.0-ভিত্তিক অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে।
৩. রিকভারি ই-মেইল ও ফোন নম্বর হালনাগাদ করুন
যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত অ্যাকাউন্ট রিকভার করতে বিকল্প ই-মেইল ও ফোন নম্বর হালনাগাদ করা বাধ্যতামূলক। এই একধাপেই আপনি বহু ঝামেলা থেকে বাঁচতে পারেন।
গুগল জানিয়েছে, জিমেইল এখন কেবল ই-মেইল প্ল্যাটফর্ম নয়—এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে গুগল ডকস, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস, ক্যালেন্ডার, স্মার্ট হোম ডিভাইস এমনকি ব্যাংকিং অ্যাপ। ফলে জিমেইল হ্যাক হলে একজন ব্যবহারকারীর পুরো ডিজিটাল জীবন বিপন্ন হতে পারে।
অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিনের মেইল, ছবি ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের ফাইল হারিয়ে ফেলেছেন শুধুমাত্র নিরাপত্তা আপডেট না করার কারণে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গুগল বড় মেইল প্রেরকদের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য করে, যাতে মেইল পাঠানো ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করা যায় এবং স্ক্যাম বা ফিশিং প্রতিরোধ করা যায়। নতুন এই নিয়ম তারই ধারাবাহিকতা।